ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলস্টেশনে ঢোকার সময় যাত্রীবাহী দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিভিন্ন মহল।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোররাত পৌনে তিনটার দিকে ঢাকা–চট্টগ্রাম ও সিলেট–চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রাম অভিমুখী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার শিকার তূর্ণা নিশীথা ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর।
তিনি ট্রেনের টিকেট কিনেও পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।
এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী পুত্র তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা ফারাজ করিম চৌধুরী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
এতে উল্রেখ করা হয়– ‘‘দুর্ঘটনার শিকার তূর্ণা নিশীতা যা গতরাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসছিলো, সেই ট্রেনে করে আমার বাবার আজ সকালে ঢাকা পৌঁছানোর কথা ছিল। সেই ট্রেনের টিকেট কিনেও পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে প্লেনে আসার পরিকল্পনাকে একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইচ্ছা ব্যতীত আর কিছুই নয়।
দায়িত্বরতদের কর্তব্যের অবহেলার কারণে এই ঘটনাগুলো ঘটছে, এটা বুঝতে আর কতগুলো তদন্ত কমিটি লাগবে? আগেও বলেছি, দায়িত্বে থাকা সকলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা আনুন। একটা উদাহরণ সৃষ্টি করুন। আমি নিশ্চয়তার সাথে বলছি, এধরণের ঘটনা ভবিষ্যতে শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। তবে ব্যবস্থা নেবেনই বা কেমনে, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ এসব পদে চাকরি তদবির ও ঘুষের মাধ্যমেই হয় ? মনে কষ্ট নিয়েই বলছি, আজ আল্লাহ যদি রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিকে সেই ট্রেনে যাওয়ার হুকুম করতেন, তাহলে কি দেশের রেল ব্যাবস্থায় কোন পরিবর্তন আসতো?
ঝড়ে যাওয়া প্রাণগুলোর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’’
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অভিমত, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর জীবন রাউজানবাসীর জন্য উৎসর্গীত। তাঁর ধ্যান–জ্ঞান কেবল রাউজানবাসীর কল্যাণ। সকলের দোয়া ও ভালবাসায় তিনি অলৌকিকভাবে রক্ষা পেয়েছেন। মহান আল্লাহ তাঁকে সবসময় হেফাজত করুক এটাই সকলের প্রত্যাশা।