লোহাগাড়া প্রতিনিধি: লোহাগাড়ায় পূর্বের শত্রুতার জের; দুর্বৃত্তের গুলি এবং ছুরিকাঘাতে মো. সাইফুল (৩০) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে বড়হাতিয়া ইউনিয়নের কুমিরাঘোনা কালিনগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত যুবক সাইফুল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কুমিরাঘোনা হারিমুন পাড়ার মৃত আজিজুর রহমানের পুত্র ও দুই সন্তানের জনক।
সরজমিন গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার দিন দুপুরে কুমিরাঘোনা কালিনগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তরা সাইফুলকে গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক জখম করে পালিয়ে যায়।
আহত অবস্থায় সাইফুলকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা সদরের এক বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮ টার দিকে তিনি মারা যান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বেলাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, ২০১৭ সালে ২১ ডিসেম্বর একই এলাকায় স্থানীয় তৌহিদ গ্রুপের হাতে মোজাম্মেল হক (৩০) নামে এক যুবক ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হয়েছিল। সাইফুল ওই মামলার স্বাক্ষী ছিলেন।
তৌহিদুল ইসলাম জেল থেকে জামিনে বের হবার পর থেকে ওই মামলার স্বাক্ষীদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় ২/৩টি গ্রুপ পাহাড়ি সম্পদের দখল-বেদখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধে লিপ্ত। ইতোপূর্বে কুমিরাঘোনা এলাকায় দখল-বেদখল এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আনোয়ার, এমরান ও মোজাম্মেল হক নামে তিন ব্যক্তি খুন হয়েছে।
নিহত সাইফুল ছিলেন মোজাম্মেল হক খুনের মামলার একজন স্বাক্ষী। এদিকে, এদিকে খবর পেয়ে একইদিন রাত ১০ টার দিকে, ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন, সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু, লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাকের হোসেন মাহমুদ,
চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জামান, বড়হাতিয়ার চেয়ারম্যান এম ডি জুনাইদ। লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল এসেছি৷ এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত সাইফুলের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলে জানা গেছে।