শাহরুখ সায়েল: সোনালী ব্যাংক লিঃ চট্টগ্রাম কাস্টমস, শুল্ক গ্রহন শাখায় স্প্রিড মানির উপর নির্ভর করে আমদানি শুল্কের পে–অর্ডারের ফাইলের গতি।
টাকা না দিয়ে পে–অর্ডারের ফাইল জমা দিয়ে ঘুরতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। আর টাকা দিলে কিছুক্ষণ পরেই ডাক পরে ফাইল নেওয়ার জন্য।
সরেজমিনে সোনালী ব্যাংক লিঃ, চট্টগ্রাম কাস্টমস শাখার আমদানি শুল্ক গ্রহন কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায় সেখানে ডকুমেন্টস প্রতি ঘুষ লেনদেন হয় ফ্রি স্টাইলেই। ঘুষের টাকা দেওয়ার পরও হয়রানি থেকে বাঁচতে বিষয়টি গোপন রাখতে চান ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নারাজ সিএন্ডএফ মালিকরাও। সিপ্লাস প্রতিনিধি পরিচয় গোপন রেখে মোবাইলে ধারণ করা হয় ঘুষ ভোগান্তির নিত্যদিনের চিত্র। সেখানে দেখা যায় ডকুমেন্টসের সাথে গতি বাড়াতে দিতে হয় ৫০/১০০/২০০ থেকে ১০০০ টাকারও বেশি। যত টাকা বেশি তত গতিও বেশি।
দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, নিয়ম বহির্ভূত অর্থ লেনদেন চলছে প্রকাশ্যেই।
কিসের টাকা নিচ্ছেন প্রশ্ন করলে উত্তর আসে কোন টাকা নিচ্ছি না। আমি তো কারো কাছে টাকা চাচ্ছি না। আপনি এ বিষয়ে স্যারের সাথে কথা বলুন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সোনালি ব্যাংক লিঃ চট্টগ্রাম কাস্টমস শাখার এজিএম কাজী মোঃ নুরুল আজম সিপ্লাসকে বলেন, আমি বিভিন্ন সময়ে পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টি তদারকি করছি। পূর্ববর্তী সময়ে কয়েকজনকে বদলীও করেছি। ডিউটি রোস্টার পরিবর্তন করেছি। একজন যেনো এক যায়গায় অনেকদিন কাজ না করতে পারে সে জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছি। তাছাড়া আপনি যেহেতু বিষয়টা তুলে এনেছেন, আমি উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নিবো এবং এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেনো না ঘটে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবো।